Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

কৃষিজীবী ভাই বোনদের জানানো যাচ্ছে যে, বোরো চারা রোপনের সময় শৈত্যপ্রবাহ থাকলে কয়েকদিন দেরি করে চারা রোপন করা প্রয়োজন। মনে রাখা দরকার সুস্থ-সবল চারা অধিক ফলনের পূর্বশর্ত।


Title
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় “ফণী” এর জন্য কৃষি আবহাওয়া বার্তা বিশেষ আবহাওয়া বুলেটিন সিরিয়াল নং-৩০ (বিএমডি)
Details

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় “ফণী” এর জন্য কৃষি আবহাওয়া বার্তা

বিশেষ আবহাওয়া বুলেটিন সিরিয়াল নং-৩০ (বিএমডি), তারিখ: ০২.০৫.২০১৯


চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বগুড়া, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর,ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্মাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উক্ত জেলাগুলোতে অতি ভারী বর্ষণের সাথে তীব্র বেগে বাতাস হওয়ার কারণে দন্ডায়মান ফসলের ক্ষতি হ্রাস কমানোর লক্ষ্যে নিম্মলিখিত বিশেষ কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ জরুরী ভাবে প্রেরণ করা হলোঃ

 -   বোরো ধান ৮০% পরিপক্ক হলে অবিলম্বে কেটে ফেলার পরামর্শ দেয়া হলো। অন্যথায় ঘূর্ণিঝড়ে ফসলের ব্যপক ক্ষতি হতে পারে।
  -  পরিপক্ক চিনাবাদাম, উদ্যান ফসল ও সবজি দ্রুত সংগ্রহ করে নিতে হবে।
   -  সেচ নালা পরিষ্কার রাখতে হবে যাতে ধান ও পাটের জমিতে অতিরিক্ত পানি জমে না থাকে।
   -  ক্ষেতের চারপাশে উচুঁ বাধঁ দিতে হবে যাতে পানির ¯্রােত দন্ডায়মান ফসলে ক্ষতি করতে না পারে।
    - দন্ডায়মান ফসলের ২/৩ টি গাছকে একত্রে বেধে রাখা যাতে সহজে পড়ে না যায়।
    - অতি বৃষ্টি ও ঝড়ে যে গাছগুলি মাটিতে পড়ে যাবে তা অতি দ্রুত উপড়ে সরিয়ে ফেলতে হবে।
    - যেহেতু ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় ভেসে যেতে পারে তাই এই মুহুর্তে বীজ বপন ও চারা রোপন থেকে বিরত থাকতে হবে।
    - সেচ, সার ও কীটনাশক প্রদান আপাতত বন্ধ রাখতে হবে।
    - গবাদিপশু/হাঁস-মুরগীকে নিম্ন স্থান থেকে উচ্চ স্থানে স্থানান্তর করতে হবে এবং নিরাপদ জায়গায় রাখতে হবে ।
    - উচ্চ বাতাস প্রবাহের সাথে উচ্চ জোয়ার এবং রুক্ষ সমুদ্রের কারণে জেলেদের মাছ ধরার জন্য সমুদ্রের ভিতর না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো ।

বৃষ্টিপাত ও নদ নদী অবস্থা

১৯ বৈশাখ ১৪২৬ বং/০২ মে ২০১৯ খ্রিঃ

এক নজরে হাওড় অঞ্চলের নদ-নদী পরিস্থিতি ও পূর্বাভাস (এফ এফ ডব্লিউ সি)

    দেশের উত্তর-পুর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে।
    বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় “ফণী” র প্রভাবে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতীয় অঞ্চল সমূহের কতিপয় স্থানে আগামী ৭২ ঘন্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
    আগামী ৭২ ঘন্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের বিশেষত: সুরমা, কুশিয়ারা, কংস, যদুকাটা ও তিস্তা নদীর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কোথাও কোথাও বিপদ সীমা অতিক্রম করে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে।

হাওড় অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাই নিম্মলিখিত কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ প্রেরণ করা হলোঃ

সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জন্য বিশেষ কৃষি আবহাওয়া বার্তাঃ

   -  বোরো ধান ৮০% পরিপক্ক হলে অবিলম্বে কেটে ফেলার পরামর্শ দেয়া হলো।
    - সেচ নালা পরিষ্কার রাখতে হবে যাতে ধান ও পাটের জমিতে অতিরিক্ত পানি জমে না থাকে।
    - ক্ষেতের চারপাশে উচুঁ বাধঁ দিতে হবে যাতে পানির ¯্রােত দন্ডায়মান ফসলে ক্ষতি করতে না পারে।
    - যেহেতু ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় ভেসে যেতে পারে তাই এই মুহুর্তে বীজ বপন, সেচ, সার ও কীটনাশক প্রদান আপাতত বন্ধ রাখতে হবে।

( সূত্র: কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প , কম্পোনেন্ট সি-বিডব্লিউসিএসআরপি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর )

 

Attachments
Publish Date
02/05/2019
Archieve Date
13/05/2019