১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ চট্টগ্রামের আগ্রবাদস্থ খামারবাড়ি চত্বরে কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের আওতায় এক আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ আ ক ম শাহরিয়ার মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল এর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ আলতাফ হোসেন মহোদয়। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের সিনিয়র ইন্টারন্যাশনাল এগ্রোমিটিওরলজিকাল টেকনিকাল কনসালটেন্ট ড. নবাংশু চট্টোপাধ্যায়।
কর্মশালায় ড. নবাংশু চট্টোপাধ্যায় কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নককরণ প্রকল্পের আওতায় গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম উপস্থাপন করার পাশাপাশি ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থাপিত বৃষ্টিমাপক যন্ত্র ও উপজেলা কার্যালয়ে সরবরাহকৃত কিয়স্ক মেশিনের অপারেশনাল বিভিন্ন কার্যক্রম ব্যাখা করেন এবং এ সর্ম্পকিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি তাঁর উপস্থাপনায় জানান ইতিমধ্যে যে আবহাওয়ার পূর্বাভাস কার্যক্রম চলমান রয়েছে তাকে এলাকা উপযোগী আরও সুনির্দিষ্ট করার কার্যক্রম চলছে। প্রকল্পের সংগৃহীত ডাটার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকরনের জন্য বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাথে প্রকল্প যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রাথমিক অবস্থায় কিছু বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকলেও অচিরেই এ সকল অস্পষ্টতা কেটে যাবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ আলতাফ হোসেন মহোদয় বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারনে ভবিষ্যৎ কৃষি ব্যবস্থায় যে পরিবর্তনের আশংকা করা হচ্ছে সে সর্ম্পকে প্রস্তুতির জন্য এলাকা ভিত্তিক কৃষি আবহাওয়ার তথ্য সংকলন ও পূর্বাভাস জরুরী। এ প্রকল্পের কার্যক্রম সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে অচিরেই কৃষক পর্যায়ে বৃষ্টিপাত, ঘূর্ণিঝড় সহ নানা দূর্যোগের আগাম সর্তকর্বাতা অগ্রিম প্রেরণ করা সম্ভব হবে। এতে কৃষি উৎপাদনের ক্ষয়ক্ষতি কমে যাওয়ার পাশাপাশি জান-মালের ক্ষয়ক্ষতিও এড়ানো সম্ভব হবে।
কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী, বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, কৃষি তথ্য সার্ভিস, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ডর বিভিন্ন স্তরের শতাধিক কর্মকর্তা অংশগ্রহন করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস